ভূঞাপুরে দুই গ্রামের বিরোধের জেরে হামলায় বাবা-ছেলেসহ আহত তিনজন

অপরাধ টাঙ্গাইল ভূঞাপুর লিড নিউজ

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই গ্রামের বিরোধের জেরে হামলার শিকার হয়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নিকরাইল ইনিয়য়নের ভারইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের উত্তরপাড়ার রাসেল (২২), তার বাবা জাহিদুল ইসলাম (৪০) এবং চাচাতো দাদা জলিল (৫০)। বর্তমানে তারা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত (১৪ ডিসেম্বর) কয়েড়া ফজল ওরফে ফজল পীর সাহেবের বাড়িতে বার্ষিক ওরস শরীফ অনুষ্ঠানে নিকরাইল ও কয়েড়া গ্রামের বেশকয়েক যুবকদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরে দুই গ্রামের মধ্যে মাসখানেক ধরে লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে কয়েড়া গ্রামের রাসেল, তার বাবা ও চাচাতো দাদা সিএনজিযোগে নিকরাইল বাজারে তাদের দোকানে যাচ্ছিল। সেই বিরোধের জেরে নিকরাইলের ভারইপাড়া এলাকায় নিকরাইল গ্রামের ফাহিম, জনি, তমাল, ফাহাদ ও নেহাল নামে আরও বেশকয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে প্রেরণ করে স্থানীয় লোকজন।
আহত রাসেল বলেন, সিএনজিযোগে আমি দোকানের মালামাল কেনার জন্য টাঙ্গাইল যাচ্ছিলাম। সাথে আমার বাবা ও দাদা ছিলেন। নিকরাইলের ভারইপাড়া এলাকায় পৌঁছলে সিএনজি আটকে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা করে। এতে আমরা আহত হলে স্থানীয়রা আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম দিলীপ ফকির বলেন, হামলার খবরটি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এদের মাঝে পূর্বের জেরে যে দ্বন্দ চলছিল সেটি দুইপক্ষের কোনো পক্ষই আমাকে জানায়নি। বিষয়টি জানলে স্থানীয়ভাবে আমি মিমাংসা করে দিতে পারতাম।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

৪৮ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *