স্টাফ রিপোর্টার ॥
পাওনা টাকা ও চেক ফেরত দেওয়ার কথা বলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ নিয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযুক্ত রুবেল টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে কর্মরত এবং সম্পর্কে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর চাচাতো ভাসুর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে টাঙ্গাইল পৌর শহরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও চেক নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে জমি কিনে দেয়নি কৃষি কর্মকর্তা রুবেল। এছাড়া টাকা ও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো কু-প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে টাকা দেওয়ার জন্য প্রবাসীর বাড়িতে যায় রুবেল। পরে বাড়িতে কেউ না থাকায় এবং টাকা দেওয়ার আশ্বাসে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
প্রবাসীর স্ত্রীর শাশুড়ি জানান, ছেলে টাকা পাঠাতো, সেই টাকা রুবেল আত্মসাত করেছে। এখন লাখ লাখ টাকা নিয়ে অস্বীকার করছে। ছেলেও তার বউকে বলেছে টাকা তুলতে না পারলে তার সাথে সংসার করবে না। এলাকার মানুষ স্বাক্ষী হতে চায় না ভয়ে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী জানান, প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা জমিয়ে শহরে একটা জমি কিনতে ভাসুর রুবেলের কাছে টাকা ও চেক দিয়েছিলাম। কিন্তু সে জমি কিনে দেয়নি। পরে টাকা এবং চেকও ফেরত দেয়নি। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা গ্রহণ না করলে পরে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেল বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে গ্রামের কিছু কুচক্রীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, ঘটনাটি তার ব্যক্তিগত। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।