টাঙ্গাইলে উইন্টার সিজন ফুটবলে হানডেট ক্লাব ফাইনালে ॥ দুইজন লালকার্ড

খেলা টাঙ্গাইল লিড নিউজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥
চরম প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন, উত্তেজনা ও খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারির মধ্য দিয়ে চল্লিশোর্ধ ফুটবল ম্যাচে জয়লাভ করেছে হানডেট ক্লাব। টুর্নামেন্টের দশম ম্যাচে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে অংশ নেয় হানডেট ক্লাব ও ফিফটি ক্লাব। খেলার ১১ মিনিটে হানডেট ক্লাবের সফল স্টাইকার ডাঃ হায়দার আলী গোল করে খেলায় জয়লাভ করে। এই জয়লাভের ফলে হানডেট ক্লাব ফাইনালে উর্ত্তিন হয়েছে। অপরদিকে ফিফটি ক্লাব টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমে অগোছালো ফুটবল খেলে হেরে যায়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফোরটি আপ ব্রাদার্সের আয়োজনে উইন্টার সিজন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফিফটি ক্লাবের সাথে হানডেট ক্লাবের দ্বিতীয় পর্বে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলার প্রথমার্ধের ১১ মিনিটের সময় ফিফটি ক্লাবের দুই ডিফেন্ডার সুজিত ও নয়নের ভুলে বল পেয়ে যান হানডেট ক্লাবের সফল স্টাইকার ডাঃ হায়দার আলী। তার সুন্দর প্লেসিং শটে গোল করে (১-০) তে দলকে এগিয়ে দেয়। এরপর দুই দলই বিক্ষিপ্ত আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি। এতে করে খেলার ফলাফল ওই (১-০) তেই মিমাংসিত থাকে।
এদিকে চরম ঘটনাবহুল ও দুই দলের দুই খেলোয়াড়ের অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ ও মারামারির কারণে সফল টুর্নামেন্টটিকে বির্তকিত করে তোলে। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১৪ মিনিটের সময় হানডেট ক্লাবের নোমান ফিফটি ক্লাবের মধ্যমাঠের সিনিয়র খেলোয়াড় বেলালকে বল ছাড়াই ন্যাক্কারজনকভাবে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এতে করে বেলাল মাঠে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় বেলাল তার মেজাজ হারিয়ে ফেলে হানডেট ক্লাবের খেলোয়াড় নোমানকে ধাক্কা দেয়। এ সময় নোমান তেরে এসে বেলালকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। এ সময় হানডেট ক্লাবের খেলোয়াড় জহুরুল মাষ্টার দুর থেকে দৌড়ে এসে নোমানের পক্ষ নিয়ে বেলালকে গালিগালাজ করতে থাকে। এমন ঘটনায় মাঠে উপস্থিত সকল খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শকরা হতবাক হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে ঢুকে সকলেই নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় প্রায় ১২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খেলার রেফারি সুলতান মাহমুদ ফিফটি ক্লাবের বেলাল এবং হানডেট ক্লাবের খেলোয়াড় নোমানকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। এই দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড পাওয়ার পর মাঠ থেকে বহিষ্কার হলে পূণরায় খেলার বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সফল টুর্নামেন্টের শেষের পথে এসে দুই দলের সৈয়দ বেলাল, নোমান এবং জহুরুল মাষ্টারের শারীরিকভাবে বলপ্রয়োগ ও বাজে আচরণ করাকে মাঠে উপস্থিত দুই দলের অন্যান্য খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শকরা কেউ ভালভাবে নেয়নি। এমন বয়সি খেলোয়াড়ের এমন আচরণ সফল এই টুর্নামেন্টেকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। এদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত সকলে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হবে বলে দর্শকরা মনে করেন। এখানে আমরা ফুটবল খেলতে আসি মানসিক শান্তি ও আনন্দের জন্য। দুই তিন জন খেলোয়াড়ের এমন আচরণ কখনোই কাম্য নয়।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের দশম ম্যাচে হানডেট ক্লাব ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে। অপরদিকে ফিফটি ক্লাব ৫ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে।
দুই দলের খেলোয়াড়রা হলেন-
হানডেট ক্লাব- ডাঃ নজরুল ইসলাম, ডাঃ হায়দার আলী, সুজায়েত, রাম/ মোস্তফা খান, জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক, ভূঁইয়া, নোমান, এডভোকেট নাসিম।
ফিফটি ক্লাব- সুজিত কুমার সাহা, বিজয় কর্মকার, নয়ন, উজ্জল, সৈয়দ বেলাল, হাবিব, সুব্রত ধর, হাসান, পিনাকী দে।
রেফারী- সুলতান মাহমুদ এবং ম্যাচ রেফারী- মোজাম্মেল হক।

 

 

 

 

 

৬০ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *