স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর/ গোপালপুর সংবাদদাতা ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোতে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যহত রয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার তরফপুর, বহুরিয়া, গোড়াই ও মহেড়া ইউনিয়নের ৯টি ইটভাটায় অভিযান চলে। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সময় ভাটা মালিকদের কাছ থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। এ সময় টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর তাঁর সঙ্গে ছিলেন। অভিযানে সহযোগিতা করে মির্জাপুর থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা। যেসব ভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলো হলো- মেসার্স এএমবি ব্রিকস, মেসার্স এআরবি ব্রিকস, মেসার্স স্টাইল-১ ব্রিকস, মেসার্স ফজলুল হক ব্রিকস, মেসার্স রমিজ ব্রিকস, মেসার্স দেওয়ান ব্রিকস, মেসার্স কালাম ব্রিকস, মেসার্স হাবিব ব্রিকস ও মেসার্স আল হাদী ব্রিকস।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর সংশোধনী ২০১৯ এর ৫ (১), ১৫ (১) ধারায় ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে সোম ও মঙ্গলবার (৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গোড়াই, বহুরিয়া, বাঁশতৈল ও আজগানা ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৭টি চিমনি গুঁড়িয়ে দেয়া এবং আরও ৭টি ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন প্রশাসন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হকের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভূটিয়ার এমএসবি ব্রিকস ও হাদিরা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর এশিয়া ব্রিকস অবৈধভাবে পরিচালনা করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, ২ ইটভাটা ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান, এ সময় সঙ্গে ছিলেন গোপালপুর থানা পুলিশের এস আই হাবিবুল্লাহ ও সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।