
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাইলট স্কুলে ভেঙ্গে ফেলা হল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম ফলক ও প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মির্জাপুরে উপজেলা সদরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন বাইমহাটি এলাকায় মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম ফলক এবং প্রতিকৃতি বিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে হামলা চালিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতের আধাঁরে কে বা কারা এই হামলা চালিয়ে ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম ফলক এবং প্রতিকৃতি গুড়িয়ে দিয়েছে তা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না। তবে সারাদেশের মতো এখানেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ের গেটের সামনে গিয়ে দেখা গেছে প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম ফলক ও প্রতিকৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বুলডোজার দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা টাঙ্গাইল শহরে তার বাসা ভেঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং লুটপাট চালিয়ে বাড়ির সমস্ত মালামাল লুটে নেয়। ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। ফজলুর রহমান খান ফারুকের গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ৭নং ওয়ার্শি ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে। স্কুলের সামনে থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা একুশে পদকপ্রাপ্ত ও শিক্ষানুরাগীর নাম ফলকসহ প্রতিকৃতি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ায় এলাকায় সুধীজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ফজলুর রহমান খান ফারুক শুধু মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নয়, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, ওয়ার্শি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিগর ছিলেন।
এ ব্যাপারে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের নাম ফলক ও প্রতিকৃতি ভেঙ্গে ফেলায় আমরাও মর্মহত। কে বা কারা ভেঙ্গেছে তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।