
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা কৃষক দলের সভাপতি দিপু হায়দার খান বলেছেন, মির্জাপুরে শক্তিশালী দল হিসেবে কৃষক দল আর্বিভূত হবে ইনশাল্লাহ। সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কৃষক দলের কর্মকান্ডে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে দিপু হায়দার খান বলেন, এর আগেও আপনি বলেছেন, কৃষক দলকে আপনি মির্জাপুরে আলোর মুখ দেখতে দিবেন না। আপনি আমাদের নেতাকর্মীদেরকে একত্র হতে দিচ্ছেন না। আপনার হাজার বাধার পরও আজ এখানে কৃষক সমাবেশে কৃষকরা একত্রিত হয়েছে। আপনি পারেননি তাদের ফেরাতে, কৃষক দল আলোর মুখ দেখছে, কৃষক দল আলোর মুখ দেখবে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল বাজারে ইউনিয়ন কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা পৌর কৃষক দলের আহবায়ক মান্নান খান মান্না প্রমুখ।
প্রধান অতিথি দিপু হায়দার খান বলেন, সারাদেশের ৪ হাজার ৫৭৮টি ইউনিয়নের মধ্যে গত তিন মাসে কমপক্ষে ৯০টি কৃষক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি সমাবেশে স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমাবেশ সফল করার লক্ষে যার যা করার তারা তাই করেছেন। কিন্তু মির্জাপুরে তিনি ভিন্নতা দেখতে পেয়েছেন। একগুয়ামি, হিংসাত্বক ও স্বৈরাচারী মনোভাব দেখেছেন। কোন একটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতৃবৃন্দ কৃষক সমাবেশে সহযোগিতা করে নাই।
দিপু হায়দার খান বলেন, আপনার নেতৃত্বে ও নির্দেশে হাটুভাঙা বাজার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি কারখানায় চাঁদাবাজি চলছে। প্রতি মাসে এক কোটি দশ লাখ টাকা আপনি চাঁদাবাজি করছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে আপনি চাঁদাবাজি করছেন। আপনি মামলা বানিজ্য করছেন। মামলার ভয় দেখিয়ে আপনি টাকা নিচ্ছেন। আবার নাম কেটে দেয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছেন। গোড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক যারা গত ১৭ বছর মিলকারখানা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। যাদের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারে নাই। তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়েছেন। এই মামলা বানিজ্য বন্ধ না করলে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে আপনার এই চাঁদাবাজির কথা বলতে থাকবো। আপনি আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আহত করার ভয় দেখাচ্ছেন। আহত কেন নিহত করলেও সত্য কথা বলা থেকে থাকবো না বলে তিনি তার বক্তৃতায় বলেন।
দিপু হায়দার তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, বিএনপির মালিক আপনিও না, বিএনপির মালিক আমিও না। বিএনপি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না। বিএনপির মালিক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির মালিক বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। দলের নেতাকর্মী-সমর্থক সর্বোপরি ১৮ কোটি মানুষ। তাহলে কেন কৃষক দলের কর্মকান্ডে আপনি বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছেন কেন। স্বৈরাচারী হাসিনাও বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্ত শত সহস্র চেষ্টা করেও পারেন নাই। তারেক রহমানের নির্দেশে গত ১৭ বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে এই হাসিনা সরকারকে বিতাড়িত করেছি। গত ৫ আগস্টের যাদের আমরা আন্দোলন সংগ্রামে দেখি নাই আপনার নেতৃত্বে তারা এখন সামনের সারিতে বসে। এতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এটা আপনি করতে পারেন না।