
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি না করায় ফার্মেসি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মধুপুর উপজেলা শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন ব্যবসায়ীরা। তবে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সব ধরনের দোকান খুললেও ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে।
মধুপুর উপজেলা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ খান জানান, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে কয়েক যুবক মধুপুর-ময়মনসিংহ রোডের সোহাগ ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ কিনতে আসেন। দোকান মালিকের ছেলে সোহাগ মিয়া তাঁদের কাছে ওষুধ বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানালে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে দোকানের মালিক ফজলুল হক এসে তাঁর ছেলেকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে একদল যুবক এসে দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাঁদের হামলায় ফার্মেসি দোকান মালিক ফজলুল হক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফার্মেসি দোকান মালিক ফজলুল হক বলেন, আঙিনা পাড়ার মাহফুজ, মিরাজ, রিফাতসহ একদল যুবক এসে অতর্কিত আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দোকান থেকে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি নগদ টাকা ও বেশ কিছু ওষুধ লুটপাট করে নিয়ে যান ওই হামলাকারীরা।
ব্যবসায়ীর ওপর হামলার খবর পেয়ে মধুপুর উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে মধুপুর উপজেলা শহরের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এই হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে সংগঠনের সহ সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক মিনজুর রহমান নান্নুসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মধুপুর উপজেলা ড্রাগিস্টস্ ও কেমিস্টস্ সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম তাৎক্ষণিক জরুরি সভা করে মধুপুর উপজেলা শহরের সব ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।