স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি দখল নিয়ে দুইপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের বড়দাম বান্দরমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলহাস মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, পৈত্রিক সুত্রে মালিক হয়ে নোয়াব আলী গংরা জমিতে ঘরবাড়ি তৈরী করে যুগযুগ ধরে বসবাস করছেন। এই জমি নিজেদের দাবী করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস ও সামাদ গংরা রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী নিয়ে নোয়াব আলী গংদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। তাদের বাঁধা দিতে গেলে জুলহাস গংরা লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সজিব হোসেন, শুকুর মিয়া, শফিকুল ইসলাম, নোয়াব আলী, শহিনুর রহমান, আনোয়ারা বেগমসহ ১০ জন আহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সজিব, নোয়াব আলী ও আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস, সালাম, জাকির, আনোয়ার, সাগর, উজ্জল, কামরুল, সিয়াম, মতি, হাসনা বেগম, শারমিন, সুরিয়া ও ইতিসহ ২০-২৫ জন অন্যায়ভাবে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তিনি লতিফপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ব্যাপারে হাসমত আলী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ সালাম, জাকির ও জুলহাস গংরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে নোয়াব আলী গংদের মধ্যে তাদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই জমি তাদের হলেও নোয়াব আলী গংরা দখলে রেখেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জমি উদ্ধারের জন্য গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারিতে তাদের পক্ষের ৬-৭ জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় বেশকয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে হাসমত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অপরপক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। মামলাও দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার পরিবেশ বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।