
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর/ ভূঞাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অপারেশন ডেবিল হান্ট অপারেশনে সজিব খান প্রধান (৩৭) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী যহোরবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল আদালতে উঠানো হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন। সজিব খান প্রধান উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। সে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড পোষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের মান্নান খানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত (৪ আগস্ট) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের হিমেলের দু’চোখ অন্ধ হয়। এ ঘটনার পর হিমেলের মা নাছিমা বেগম টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতে পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে সজিব খান প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডেবিল হান্ট অপারেশনে এখন পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলা থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, হিমেলের মায়ের করা মামলার তদন্তে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সজিব খান প্রধানের নাম পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
এদিকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলায় ইসমাইল হোসেন ওরফে ইকো মিঞা (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার মাধ্যমে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের ফসলান্দী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইকো মিঞা উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের শুশুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ইকো মিঞার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় নাশকতার মামলা থাকায় ডেভিল হান্ট অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল সদর থানার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন।