স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব বলেছেন, যারা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামকে ১/২ দিনের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল বলে হাইজ্যাক করতে চাচ্ছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফরমায়েশি রায়ে জেল খেটেছেন। তিনি তাঁর কত সন্তানকে হারিয়েছেন, ইলিয়াস আলীসহ দলের কত শত নেতা গুম হয়েছেন, কত শত নেতা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আর কত লক্ষ নেতা মামলা খেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের মসদই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৭তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম খান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি আব্দুল বাসেদ, সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান ছিটু, পৌর বিএনপির সহসভাপতি হাজী সোহরাব হোসেন, খন্দকার মোবারক হোসেন, পৌর কৃষক দলের আহবায়ক মান্নান খান মান্না, যুগ্ম আহবায়ক আবু রায়হান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শপথ প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাইদ সোহরাব তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই দীর্ঘ সময়ে আমরা যে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করেছি। আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন আপোষহীন নেত্রী পেয়েছি। মায়ের মতো এই নেত্রী কোন দিন অসত্য ও স্বৈরাচারের সঙ্গে আপোষ করেন নাই। লোভ লালসার ওপরে উঠে সারা জীবন দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন। শত বিপদেও তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আমার ঠিকানা, এদেশের মানুষ আমার ভাই-আমার বোন। জেল খেটেছেন কিন্ত তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। আমরা গর্ববোধ করি আমাদের নেত্রীকে নিয়ে। সাবেক ছাত্র নেতা সাইদ সোহরাব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ভোটাধিকার অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন সংগ্রাম করে এই বয়সেও জেল খেটেছেন। ফলমায়েশি রায়ে পতিত স্বৈরাচার সরকার তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। তারপরও তিনি আপোষ করেননি। তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
সংগ্রাম করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১/১১ সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তাকে পঙ্গু করে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিদেশে থেকেও তিনি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে আন্দোলন গড়ে তোলেছেন। সেই আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত গণঅভুত্থানে রুপ নিয়েছিল। আজকে যারা বলেন, এই আন্দোলন ১/২ দিনেই হয়ে গেছে। তারা একটু ভাল করে চিন্তা করবেন।
পরে প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।