
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥
প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন ফাইনাল খেলায় প্রথমার্ধ যদি হয় হানডেট ক্লাবের, দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই টেন ক্লাবের। হানডেট ক্লাব প্রথমার্ধে কাঙ্খিত গোল করতে না পারলেও টেন ক্লাব দ্বিতীয়ার্ধে গুনে গুনে ৩ বার বল হানডেট ক্লাবের জালে বল পাঠিয়ে (৩-০) গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচেতন চল্লিশোর্ধ ক্রীড়াপ্রেমী কিছু মানুষের উদ্দীপনায় ফোরটি আপ ব্রাদার্সের আয়োজনে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়ামে পাঁচ শতাধিক দর্শকের উপস্থিতিতে উইন্টার সিজন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম খান ঝলক, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, দেহগড়ি শরীর চর্চা ক্লাবের সভাপতি তপন ভট্রাচার্য।
শঁতায়ু অঙ্গন ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের পৃষ্ঠপোষকতায় টুর্নামেন্টের সভাপতি ছিলেন উইন্টার সিজন ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক নূর এ আলম ভূঁইয়া এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব ইফতেখারুল অনুপম।
ফাইনাল খেলায় শুরু থেকে এডভোকেট শামীম, নোমান ও ডাক্তার হায়দার আলীর সমন্বয়ে গড়া হানডেট ক্লাব একচেটিয়া আক্রমন করে খেলতে থাকলেও দক্ষ স্টাইকারের অভাবে কাঙিখত গোল করতে পারেনি। এ সময় টেন ক্লাবের গোলরক্ষক আশরাফ চমৎকার দক্ষতায় আক্রমনগুলো প্রতিহত করেন।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে টেনক্লাব একটু গুছিয়ে খেলতে শুরু করে। খেলার ৩৬ মিনিটের সময় টেন ক্লাবের সংঘবদ্ধ আক্রমন থেকে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ও দলের অধিনায়ক ইফতেখারুল অনুপম সতীর্থ গোবিন্দর কাছে বল পেয়ে হানডেট ক্লাবের গোলবারমুখী মাপা উুঁচ কোনাকুনি দর্শনীয় শটে বল জাল জড়িয়ে দেয়। এই গোলে টেন ক্লাব (১-০) গোলে এগিয়ে যায়। খেলায় পিছিয়ে পড়ে হানডেট ক্লাব অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। এ সময় তাদের খেলোয়াড়দের দমে ঘাটতি দেখা যায়। সেই সুযোগে টেন ক্লাব কর্ণার পায়। অনুপমের মাপা কর্ণার কিকে সুন্দরভাবে মাথা ছুইয়ে দলের স্টাইকার গোবিন্দ গোল করে (২-০) তে দলকে এগিয়ে নেয়। সুযোগ সন্ধানী স্টাইকার গোবিন্দ পর পর ২টি গোল করে (৩-০) ব্যবধান বাড়িয়ে নিলে রেফারী সুলতান মাহমুদ শেষ বাঁশি বাজিয়ে ফাইনাল খেলার সমাপ্তি টানেন।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় হানডেট ক্লাবে স্টাইকার ডাঃ হায়দার আলী, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় টেন ক্লাবের অধিনায়ক ইফতেখারুল অনুপম এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা (৪টি গোল) দুইজন টেন ক্লাবের গোবিন্দ কর্মকার ও ফিফটি ক্লাবের মুজিবর রহমান।
স্বাস্থ্য সচেতন শতায়ু অঙ্গন ও দেহগড়ি ক্লাবের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, চাকুরিজীবী, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী ক্রীড়ামোদীদের উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে টেন ক্লাব, হানডেট ক্লাব, ওয়ান ক্লাব ও ফিফটি ক্লাব নামে ৪৪ জন ফুটবলার অংশগ্রহণ করেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট শুরু হয় গত (২৯ নভেম্বর) থেকে। টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান অধিকার করে ওয়ান ক্লাব এবং ৪র্থ অবস্থান যথারীতি ফিফটি ক্লাব।
খেলার ধারাভাষ্য প্রদান করেন অধ্যাপক অনীক রহমান বুলবুল ও আব্দুল হালিম।
ফাইনাল খেলায় দুই দলের খেলোয়াররা হলেন- টেন ক্লাব- শামীম আল মামুন (ওনার), সানোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন, ইমরান, বিশ^জিৎ/ ডা. শফিকুল ইসলাম, উজ্জল, আশরাফ (গোলরক্ষক), গোবিন্দ কর্মর্কার ও ইফতেখারুল অনুপম (অধিনায়ক)।
হানডেট ক্লাব- ডাঃ নজরুল ইসলাম (ওনার)/ আল আমিন, ডাঃ হায়দার আলী, সুজায়েত, জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক, নুর এ আলম ভূঁইয়া, নোমান ও এডভোকেট নাসিম (অধিনায়ক)।
রেফারী- সুলতান মাহমুদ, সহকারী- মমিনুল ইসলাম ও তৌফিকুর রহমান মাসুদ এবং ম্যাচ রেফারী- মোজাম্মেল হক।