স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যুবদল সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে মাদক কারবারি, দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকায় কালিহাতী উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গত (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজনৈতিক পরিচয়ে কালিহাতী প্রেসক্লাবে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে। তিনি কালিহাতী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে কালিহাতী উপজেলা যুবদলের সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিককে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এ নেতার কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, গত (৫ আগস্ট) সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন রফিক। রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়ন্ত্রণ নেন টেন্ডার, মাদক ও বালুর ঘাট বাণিজ্য। এর আগে গত (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে ১০-১২ ব্যক্তি কালিহাতী প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ নগদ টাকা লুটে নেয়। ওই ঘটনায় কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত বাদি হয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট (কালিহাতী) আমলী আদালতে রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রফিকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, রফিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।