
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে ঔষুধ কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার মোমিনুল ইসলামকে অপহরণ করে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে শহরের থানাপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত মোমিনুল ইসলামকে উদ্ধার ও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মন কুলিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন তালুকদার (৩২) এবং দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন রনি (২৮)।
পুলিশ জানায়, মোমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন করে শহরের রেজিস্ট্রপাড়ার ঔষুধ কোম্পানীতে মার্কেটিং অফিসার হিসাবে চাকরি করতেন। এ সুবাদে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিয়া মনি নামের এক নারীর সাথে পরিচয় হয়। গত বুধবার (৫ মার্চ) রাতে রিয়া মনি মোমিনুলকে শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড়ে ডেকে আনেন। পরে তার সাথে থাকা দুইজন মোমিনুলকে জোরপূর্বক শহরের থানাপাড়ায় ফ্লাটে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট করে। এক পর্যায়ে অপরহরণকারীরা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা বাড়ী থেকে নগদ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়।
অপহরণকারীরা মোমিনুল ইসলামের সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বলে বাড়িতে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিতে বলে। পরে মোমিনুলের বাবা মোহাম্মদ আলীকে প্রথমে বিকাশে ৫ হাজার টাকা দেয়। পরে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকাশের মাধ্যমে আরো ১০ হাজার টাকা দেয়। বাকী টাকার জন্য তারা মোমিনুল ইসলামকে মারপিট ও নির্যাতন করে। এভাবে মোট বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী টাকা বিকাশের মাধ্যমে দিতে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি পরিবারের লোকজন পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়। অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় মোমিনুল ইসলাম রাতে নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।