
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন গোলাবাড়ী ইউনিয়নের মাঝিরা বাজারে গ্রাম্য সালিশকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় একজন ইউপি সদস্য সহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ক্লাব এবং একটি বাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। গত বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে মাঝিরা মোড়ে মহাদাস গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে নাজমুল এর সাথে স্থানীয় অটোচালক মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর ছেলে সোহেলের সঙ্গে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে মাঝিরা মোড়ে অবস্থিত হুমায়ুন কবির তালুকদার স্মৃতি যুব সংঘ ক্লাবে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপস মিমাংসার জন্য স্থান ও সময় নির্ধারন করা হয়। কিন্তু যথাসময়ে বিবাদী পক্ষের মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর ছেলে সোহেল রানা উপস্থিত না থাকার কারণে সালিশ পন্ড হয়ে যায়। এ নিয়ে শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে উক্ত ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে থাকলে অত্র এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে মিমাংসা করা হবে বলে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এর কিছুক্ষণ পর বাসুদেববাড়ী এলাকার করিম তালুকদার এর ছেলে বাপ্পী, মুলু তালুকদার এর ছেলে ওসামা এবং একই গ্রামের বিপ্লবসহ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং এদের উস্কানিতে আবারও নতুন করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে মহাদাস গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ এবং ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক দল মধুপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক আব্দুল মমিন গুরুতর ভাবে আহত হন। সংঘর্ষের সময় হুমায়ুন কবির তালুকদার স্মৃতি যুব সংঘের অফিস এবং মহাদাস গ্রামের অনিফুল্লার ছেলে নিলয়ের বাড়ী ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার এস.আই আরিফ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।