
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রশাসনের নজরদারিতে পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকায় কিছু কিছু পণ্য ছাড়া বাজারে অধিকাংশ পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। মাছ, মাংস, মুরগির দাম আগের মতই রয়েছে। তবে ফল জাতীয় সকল খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশী বলে ভোক্তরা অভিযোগ করেছেন।
মির্জাপুর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদা, রসুন ও পিয়াজসহ অধিকাংশ সবজিপণ্য স্বাভাবিক ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে প্রতি কেজি রসুন দেশী ১০০ টাকা, পিয়াজ ৪০ টাকা, আদা ১২০, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ২৫/৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৩৫/৪০ টাকা। অন্য খাদ্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল (খোলা) কেজি ১৮০ টাকা, সয়াবিন (প্যাকেট) ১৭৫ টাকা, লিটার মসুর ডাল (মোটাদানা) কেজি ১১০ টাকা, মসুর ডাল (চিকনদানা) ১৪০ টাকা, ছোলা ১০৫ টাকা, সরু চাল কেজি ৭৬-৮০ টাকা, মাঝারি চাল ৬০-৬৫ টাকা ও মোটা ৫৫-৫৭ টাকা, ডিম ডজন ১২০ টাকা, চিনি ১১৮/১২০ টাকা, জিরা কেজি ৬৩০-৬৫০ টাকা, এলাচ ৫০০০ টাকা থেকে ৫৬০০ টাকা, দারুচিনি ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
এছাড়া মাছ ও মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি রুই ও কাতল মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ২৭০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, কেজি ব্রয়লার ১৯০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯৫০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকা পর্যন্ত।
মির্জাপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আমদানী ভাল থাকায় এবং প্রশাসনের মনিটরিং থাকায় এ বছর রমজানে সকল প্রকার সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে মির্জাপুরে সকল প্রকার ফলের দাম কিছুটা বেশী বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। গত তিন দিন ফলের দোকানগুলোতে মাল্টা প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা, আঙ্গুর ৩৬০ টাকা, আঙ্গুর (কালো) ৪৫০/৫০০ টাকা, আপেল চায়না ক্রাউন ২৮০ টাকা ও ফুজি আপেল কেজি ৩০০/৩৪০ টাকা।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র রমজান শুরুর আগে থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করে পণ্যমূল্য নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের কর্মকান্ড অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।