মধুপুরে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরির অভিযোগে তিন কারখানায় জরিমানা 

আইন আদালত টাঙ্গাইল মধুপুর

হাবিবুর রহমান, মধুপুর।।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী গোপনে তৈরি হচ্ছে। তৈরি করছে শিশু খাদ্যসহ নানা খাদ্য সামগ্রী। জুস সেমাই নিমকি বুন্দিয়ার মতো আরো বিভিন্ন খাদ্য। এসব খাদ্য তৈরিতে মানা হচ্ছে না সরকারি নীতিমালা। পোড়া ও ভেজাল তেলের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী।বিএসটিআইয়ের অনুমোদনও নেই অনেক কারখানার । চাকচিক্য লোভনীয় করার জন্য  ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রঙ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাদ্য সামগ্রী তৈরির অভিযোগে ৮ মার্চ টাঙ্গাইলের  মধুপুরে দুই কারখানার মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

অপর দিকে, ১০ মার্চ সোমবার মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মৌজায় পরিবেশ দূষনের অভিযোগে  পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেডের কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুই লক্ষ টাকা জরিমান করা হয়েছে।

এ তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া।

মধুপুর উপজেল ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা গ্রামে পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেড আনারস ক্ষেতের মাঝখানে উন্মুক্ত স্থানে পোল্ট্রি বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ করে আসছিল। এর ফলে তীব্র দুর্গন্ধ, দূষিত বাতাস ও মাছির উপদ্রবের সৃষ্টি হয়।  ফলে এলাকাবাসীর বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরের মানুষজন নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠে। এইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরিবেশ দূষণের অপরাধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুসারে পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেডকে দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া, অনতিবিলম্বে উপযুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে দূষণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন এ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। এ সময় মধুপুর সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ক্যাম্পের একটি দল উপস্থিত ছিল।

এর আগে  ৮ মার্চ  মধুপুর পৌরশহরের টেংরী মৌজার দুটি ফ্যাক্টরিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিএসটিআই-এর অনুমোদন ব্যতীত নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বুন্দিয়া, খুরমা, নিমকি তৈরি, নিষিদ্ধ রং ও পোড়া তেলের ব্যবহার ইত্যাদি অপরাধে দুই ফ্যাক্টরি মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে মোট ৭৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। এ সময় নিষিদ্ধ রঙের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন  উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। এ সময় মধুপুর সেনা ক্যাম্পের একটি দল সহযোগিতায় ছিল । এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটেডের

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে না। দূষণ গন্ধে এলাকাবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে দূষণ বন্ধ করে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য।

টেংরির কারখানায় আইন লঙ্ঘন ঘটছে। সেখানে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। বেশ কয়েকজন ১৫ বছর বয়সী কিশোরকে কর্মরত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরির জন্য জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে তিনি জানান।

 

১৮ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *