
স্টাফ রিপোর্টার ॥
অপহরণের ৭ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের সহায়তা উদ্ধার হলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উদ্যমপুর গ্রামের ৩৭ বয়সী আসলাম হোসেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। গত বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় টাঙ্গাইল শহর রাবনা বাইপাস থেকে অপহরণ হন।
জানা যায়, আসলাম বগুড়ায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করেন। ঘটনার দিন তিনি কর্মস্থলে ফেরার জন্য বগুড়াগামী গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ করে তার সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। মাইক্রো থেকে কয়েকজন সাদা পোষাকধারী মানুষ র্যাব পরিচয় দিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁেধ গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। তারা চলন্ত মাইক্রোবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসলামের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র সজিব হোসেনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে।
আসলাম হোসেনের ভাই সজিব হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপহরণকারী আমাকে ফোন করে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে বিকাশ নম্বর দেয়। পরে আমি টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহম্মদকে এই বিষয়ে জানাই। তিনি আমাকে বিকাশে আগেই টাকা দিতে বারণ করেন। পরে ওসির তৎপরতার সাথে ওই বিকাশ নম্বরে ফোন করে টাকা দেওয়ার কথা বলে অপহরণকারীরা কোথায় আছে সেটা ট্র্যাক করে। অপহরণকারীরা ওসিকে সিরাজগঞ্জ আছে বলে মিথ্যা বললেও তারা আসলে ট্র্যাকে ধরা পড়ে মির্জাপুরের গোহাটিতে আছে।
ওসি মির্জাপুর থানাকে অবহিত করেন। পরে বুধবার (১২ মার্চ) রাত ১২টার দিকে অপহরণকারীদের গাড়ী ঘেরাও করে। অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসলাম হোসেনকে গাড়ী থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা আসলাম হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, ডেবিট কার্ড থেকে ৬৫ হাজার টাকা এবং নগদ ৩ হাজার টাকাসহ ব্যাগ নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আসলাম হোসেন জানান, টাঙ্গাইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। টাঙ্গাইল র্যাব অফিসকেও জানানো হয়েছে। র্যাব অপহরণকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন।