
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভালুককান্দি এলাকায় অবস্থিত হর্টিকালচার সেন্টারে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া মাটি ভরাটের ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে চলছে নানা সমালোচনা।
জানা যায়, বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে টাঙ্গাইলের ভালুককান্দি হর্টিকালচার সেন্টারে মাটি ভরাটের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বরাদ্দকৃত টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নার্সারীর তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে বাধ্য হয়ে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও মাটি ব্যবসায়ী মনিরুর ইসলামের মাধ্যমে এক লাখ টাকার আট ট্রাক মাটি ফেলা হয়। বাকি ১৯ লাখ টাকাই নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন কর্মচারীর সাথে। তারা জানান, যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার সম্পূর্ণই নয়ছয় হয়েছে। মাত্র এক লাখ টাকার আট ট্রাক মাটি ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে চার ট্রাক মাটি সীমানা প্রাচীর ঘেসে, দুই ট্রাক মাটি একটি গর্ত ভরাটের জন্য এবং দুই ট্রাক মাটি নার্সারীর ভেতরে ফেলা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা বরাদ্দের ২০ লাখ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন বলেই দৃশ্যমান। কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমালোচনায় বাধ্য হয়ে মাত্র এক লাখ টাকার চার ট্রাক মাটি ফেলেছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতার মাধ্যমে। বাকি ১৯ লাখ টাকার কোন খবর নেই কারও কাছেই।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির জানান, নার্সারীতে অনেক আগে ৮/১০ লাখ টাকা মাটি ফেলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ভালুককান্দি হর্টিকালচার নার্সারীর তত্ত্বাবধায়ক (সংযুক্ত) আব্দুল মান্নান জানান, তিনি কোন টাকা আত্মসাৎ করেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাটি ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানান, যদি এ ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে এ বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।