টাঙ্গাইলে ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতারে ছাত্রদলের বাধা দেয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর রাজনীতি লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল পৌর শহর জামায়াতের ১নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে বাধা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইল পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের কেডি মসজিদের সামনের মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল ইফতার মাহফিল বন্ধ করার জন্য আয়োজক কমিটিকে চাপ দেয়। অপরদিকে জামায়াতের নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠান সফল করার ব্যাপারে অনড় অবস্থান গ্রহণ করে। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জেলা ছাত্রদলের নেতা আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে হাসান, রুবেল, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপনসহ ২০-২৫ জন মারমুখী অবস্থান নেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ ও পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত ছাত্রদলের নেতাদের বুঝানোর চেষ্টা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের নেতারা চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর জামায়াত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সফলভাবে ইফতার মাহফিল শেষ হয়।

শহর জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ছাত্রদলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এমএ বাতেন তার সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের ইফতার পার্টি করতে বাঁধা দেন। এ সময় তিনি আমাদের ইফতার পার্টিতে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালাগাল সহ মাইক বন্ধ করে দেন। তিনি আরও বলেন, সেই ছাত্রদলের নেতা বাতেন এসে প্রথমে আমাদেরকে বলেন এটি এক নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠান কিন্তু ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেন এই ইফতার মাহফিল করছেন। এই বলে আমাদের উপর চড়াও হন। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশক অবগত করি। পরে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ স্বাভাবিক করে। তখন আমরা আমাদের ইফতার পার্টি সম্পূর্ণ করি।
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম এ বাতেন বলেন, ইফতার অনুষ্ঠানে কোন ধরনের হট্টগোল হয়নি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছি জানার জন্য। এলাকায় কে বা কারা ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সেটা জানার।
টাঙ্গাইল সদর থানার (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, শহর জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী আমাকে অবগতি করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এরপর পরিবেশ স্বাভাবিক হলে সবাই মিলে মিশে সেখানে ইফতার করেন। বর্তমানে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা নাই।
৪৫ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *