
আদালত সংবাদদাতা ॥
সাবেক সংসদ সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল করে পাগলের আশ্রম চালু করার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির জামিন আবেদন সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে বন্দি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়দানকারি মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির জামিন চেয়ে তার আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন। শুনানী শেষে টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খাঁন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত (৬ ফেব্রুয়ারি) মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি তার কিছু অনুসারি নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই বাড়িগুলোর সব মালামাল লুটপাট হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করারও ঘোষনা দেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর দখল করে বৃদ্ধাশ্রম, পাগলের আশ্রম, এতিমখানা করা হবে বলে মিষ্টি জানিয়েছিলেন।
তার ধারাবাহিকতায় গত (৮ মার্চ) শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ির তালা ভেঙে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি প্রবেশ করেন। সেখানে ১৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ উঠিয়ে দেন। ওই বাড়িটিতে “পাগলের আশ্রম” চালুর ঘোষনা দেন। পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাসিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়ি খালি করে। পরে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িও দখলের ঘোষনা দিয়েছিলেন। সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী গত (৯ মার্চ) রাতে বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে দুই দফায় ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।