
সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইলে পবিত্র ঈদ ও পাহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে জেলা শহরের ছোট-বড় সকল বিপণীতে উপচেপড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দিন দিন ক্রেতাদের ভীড় ক্রমশই বেড়ে উঠছে।
টাঙ্গাইলের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দোকানীরা ক্রেতাদেরকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। জেলা সদরসহ উপজেলার অতিরিক্ত লোকজন সমাগমের কারণে জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে এসব ব্যস্ততম জায়গায় দেখা যাচ্ছে। এছাড়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার পরেও জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে হেটে চলাই দায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
ঈদুল ফিতরের পরেই পহেলা বৈশাখ পড়ায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন বিভিন্ন বিপণীগুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দুই উৎসবকে সামনে রেখে ৫ শত টাকা দামের একটি জামা দোকানীরা দাম হাকিয়ে যাচ্ছেন ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা। তবুও কেনাকাটা থেকে দূরে নেই কেউ। যে যেমন পাচ্ছে তেমন দামে জামা-কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে প্রতিটি বিপণীর মালিকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণের মালামাল মজুত আছে বলে দাবি করে পরিমল বস্ত্রালয়ের মালিক বাবুল সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অতিরিক্ত দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপড় চোপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। নিন্মআয়ের মানুষেরাও কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই। নিন্মআয়ের মানুষের জন্য সল্প মূল্যে কেনাকাটার জন্য জেলা শহরের বাজারে ফুটপাতেও উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
পরিবার কেনাকাটা করতে আসা মিলন মিয়া জানায়, তার পরিবারের জামা-কাপড় কেনাকাটার যে বাজেট ছিলো তার চেয়ে দ্বিগুন লেগেছে। তবুও কিনতে হয়েছে আমার। মালেকা বেগম জানায়, ব্যবসায়ীরা বলেছেন- দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি থাকায় এবার ঈদের কাপড়ের দাম একটু বেশী। যেমন গত ঈদে যে জামার পিছ ১২শ টাকায় কিনেছি সেই কাপড় এই ঈদ মার্কেটে কিনতে হচ্ছে ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকায়।
এছাড়াও জামা কাপড়ের পাশাপাশি জুতা, গেঞ্জি, কসমেট্রিকস, অন্যান নিত্যপন্যের জিনিসের দামও বেশ চড়া। অনেকেই জুতা কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক জুতার দোকানে দোকানিরা জুতায় একদাম লিখে রাখার কারণে মধ্যআয়ের মানুষেরা একদামে জুতা কিনতে পারে না। ফুটপাত থেকে একটু কম দামে জুতা কিনতে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।