
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৭ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ইটভাটা মালিকের ভাই, ছেলে ও ভাতিজাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর এবার মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজরা। শনিবার (২৯ মার্চ) ভাটা মালিকের ছেলে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা জামিনে এসে গত (২৭ মার্চ) দুপুরে ইটভাটার কয়লা ভর্তি একটি ট্রাক পুণরায় চাঁদা দাবি করে রাস্তায় আটকে দেয়। পরে তারা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ আসে। পুলিশ দেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।
মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই খামারপাড়া বাসিন্দা ইটভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদাবাজরা। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় গত (৫ মার্চ) কেবিএম-৩ ইটভাটার একটি ট্রাক গোড়াই মইন নগরের রাস্তায় আটক করে তারা। খবর পেয়ে ভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার ভাই শফি মিয়া, ছেলে আবু তালেব ও ভাতিজা রাসেল সেখানে আসলে চাঁদাবাজরা দা, লাঠি ও চাকু দিয়ে ভাটা মালিকের ভাই শফি মিয়া ছেলে আবু তালেব ও ভাতিজা রাসলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে আবু তালেব ও রাসেলের অবস্থার অবনতি হলে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আবু তালেবের অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইটভাটা মালিক মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে গোড়াই খামারপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন পাখি, লোকমান হোসেন, হানিফ সাধু, জুবায়ের, তোফাজ্জল, আকরাম, জামান, শিশির ও তারা মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে মামলার পর প্রধান তিন আসামী জুবায়ের, তোফাজ্জল ও আকরাম ছাড়া অন্য আসামীরা জামিনে এসে ভাটা মালিককে মামলা তুলে নিতে ও পুণরায় চাঁদা দাবি করে অনবরত হুমকি দিয়ে চলেছে বলে আহত আবু তালেব জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় আসামীদের ভয়ে কেবিএম ইটভাটার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। গত (২৭ মার্চ) দুপুরে ইটভাটার কয়লা ভর্তি একটি ট্রাক পুণরায় চাঁদা দাবি করে রাস্তায় আটকে দেয়। পরে তারা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। পুলিশ দেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী আলমগীর হোসেন পাখির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে বলেন, রাস্তায় ধূলাবালু উড়ে সমস্যার সৃষ্টি করায় ট্রাক আটক করা হয়েছিল। মূলত ইটভাটার অংশিদারিত্ব নিয়ে ভাটা মালিক মোস্তফার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, মারামারি ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।