স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাত পৌহালেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যানজট, ধীরগতি এবং যানবাহনের চাপের পর মহাসড়ক এখন ফাঁকা হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকায় ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ঈদ যাত্রার ৬ দিনে যমুনা সেতু দিয়ে দুই লাখ ১৬ হাজার ১৩৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার। এদিকে গত (২৮ মার্চ) একদিনে সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
এর আগে যমুনা সেতুর উপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টা থেকে রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯ টা পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতুপুর্ব পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও বিকেল পর্যন্ত উত্তরের পথে যানবাহন ব্যাপক চাপ থাকে। এদিকে মহাসড়কে ৭ শতাধিক পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যরা কাজ করে।
এদিকে শেষ মুহুর্তে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পারছে যাত্রীরা। তবে যাত্রীবাহি বাস না পেয়ে ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেও খুশি যাত্রীরা। রোববার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রোজিনা বেগম নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ট্রাকে যাচ্ছি বাড়িতে। বাড়ির কথা শুনলে মনের মধ্যে শান্তি চলে আসে।ছেলে থাকে দাদা-দাদীর সাথে মা আসবে শুনে পাগল হয়ে আছে। যারা দূরে থাকে তারা বুঝে পরিবারকে কতটা ভালোবাসে। এই রোদের মধ্যে যাচ্ছি পরিবারকে কাছে পাবো এটাই শান্তি। ট্রাকের যাত্রী ইকবাল হাসান বলেন, প্রচন্ড রোদ মাথায় নিয়ে রংপুর যাচ্ছি। প্রায় ৬ মাস পর বাড়ি যাচ্ছি।ট্রাকে এতো কষ্ট করে যাচ্ছি। নিজের কাছে কষ্ট মনে হচ্ছে না। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগ করে নিতে পারব এর চেয়ে শান্তির কি হতে পারে। এ বছর ভোগান্তি ছাড়ায় মানুষ তার গন্তব্য পৌঁছাতে পারছে।
এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে। স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা।