
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবেল সিকদার তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম ও ছেলে রেজাউল করিম শুভ নামে এক পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে রেজাউল ও তার মা বুলবুলি বেগমের অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাদের কুমুদিনী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাবেল সিকদার বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- কুড়িপাড়া বাজার এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩), একই গ্রামের মোকদম সিকদারের ছেলে বেলায়েত হোসেন, তার মা হাজেরা বেগম এবং হিরু মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাবেল সিকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামীদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে হাবেল সিকদারের বসত বাড়ীতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা ছেলে রেজাউল করিম শুভ (২১) কে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ছেলে রেজাউলকে বাঁচাতে হাবেল সিকদার এগিয়ে গেলে আসামীরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকেও আহত করে। বাপ ছেলের আর্তচিৎকারে স্ত্রী বুলবুলি বেগম এগিয়ে গেলে আসামীরা তাকেও এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে।
এ সময় তারা লোহার রড দিয়ে বুলবুলি বেগমের মাথায় আঘাত করলে তা তার ডান চোখে লেগে মারাক্তক জখম হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে প্রথমে তাদের পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে মা-ছেলের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।