
হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুরে গোপনে অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার বিয়ে আয়োজন করা বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিকাহ রেজিস্টারকে ৫ হাজার ও কন্যার বাবাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। অর্থ দন্ড প্রাপ্তরা হলেন- কন্যার বাবা শামীম আহমেদ ও বেরিবাইদ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর গ্রামে।
মধুপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তীনগর গ্রামে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ও অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল উপস্থিত হয়ে সেখানে ভ্র্যামমান আদালত পরিচালনা করেন।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তারা দেখেন, ১৫ বছর বয়সী অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যার বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এমন অপরাধে শামীম আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে ও বিয়ে পড়ানোর কাজে উপস্থিত কাজীকে বাল্যবিবাহ নিরোধ ২০১৭ সালের আইনে দু’জনকে মোট ১৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তাকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
ভ্র্যামমান আদালত পরিচালনা করেন মধুপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসআই বেলালের নেতৃত্বে অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।
এ বিষয়ে মধুপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, জন সচেতনতার অভাবে বাল্য বিবাহ হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ওই গ্রামে গিয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কন্যার বাবা ও ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে ভ্র্যামমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। বাল্য বিবাহ বন্ধে এলাকার সচেতন মহল গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।