
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
কৌশলে নিজের বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করলে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে শরীফ মাহমুদ সান নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। মুচলেকা ও দেনমোহরের ১৮ লাখ টাকার চেক জমা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। শরীফ মাহমুদ সান নিষিদ্ধ ঘোষিত মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া এলাকায়। শরীফ মাহমুদ ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শরীফ মাহমুদ সানের সাথে নবম শ্রেণির পড়ুয়া স্থানীয় এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি উভয় পরিবার জানতে পেরে এক বছর আগে উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের কাবিন হয়। এরমধ্যে শরীফ মাহমুদ সান অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিষয়টি কনের পরিবার জানতে পেরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়।
এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বুধবার (২ এপ্রিল) বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ছিলো তাদের গায়ে হলুদ। বুধবার (২ এপ্রিল) বরযাত্রী কনের বাড়িতে যান। এর আগে শরীফ মাহমুদ সান তার বিয়ে ভাঙতে বাল্য বিয়ে হচ্ছে কৌশলে এমন খবর প্রশাসনকে জানাতে তার বন্ধুদের সহায়তায় প্রেমিকাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠান। দুপুরে আত্মীস্বজনসহ অতিথিদের আপ্যায়ন শেষে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরমধ্যে শরীফ মাহমুুদ মুঠোফোনে তার বিয়ে ভাঙতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যেতে বলেন।
কনে পক্ষের লোকজন মুঠোফোনে এমন কথা শুনতে পেয়ে শরীফ মাহমুদকে আটক করে রশি দিয়ে বেধে ফেলেন। পরে তার শেরওয়ানী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গণধোলাই দেয় ক্ষুব্দ জনতা। বরযাত্রী আসা অন্য অতিথিরা সটকে পড়েন।
ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় মাতাব্বর এবং উভয়পক্ষের আলোচনায় শরীফ মাহমুদ এমন ঘটনা আর ঘটাবে না বলে মুচলেকা দেন। শরীফ মাহমুদের বাবা আদম ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পুত্রবধুর দেনমোহরের পাওনা ১৮ লাখ টাকার চেক দেন বলে জানা গেছে।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় মাতাব্বররা সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।