
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিয়ের ১৫ বছর পর আখি মন্ডল (৩২) নামে এক গৃহবধূ চার সন্তান প্রসব করেছেন। রবিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আখি মন্ডল (৩২) তিনটি জীবিত ও একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডাক্তার মেহেরুন নেছা মায়া এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার বাচ্চা সন্তান প্রসব করান।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যতুকী গ্রামের রতি সরকারের স্ত্রী আখি মন্ডল গর্ভধারণের আট মাসে প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডাক্তার মেহেরুন নেছা মায়া অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি জীবিত ও একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করান। এর মধ্যে দুই পুত্র ও দুই কন্যা বাচ্চা ছিলো। এক ছেলে বাচ্চা গর্ভেই মারা যায় বলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর আগে আখি মন্ডল ও রতি সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর এক পুত্র সন্তান জন্ম দিলেও চারদিন পর মারা যায়। এর এক বছর পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আখি মন্ডল।
বিয়ের ১৫ বছর রবিবার (৬ এপ্রিল) একসাথে চার নবজাতকের জন্ম দেন আখি মন্ডল। এরমধ্যে একজন গর্ভেই মারা যায়। অন্য তিন নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডাক্তার মেহেরুন নেছা মায়া জানান, একসাথে চারটি বাচ্চা গর্ভধারণ একটি বিরল ঘটনা। পাঁচ লাখ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি এক বার ঘটে। এ ধরনের প্রেগন্যান্সি মা ও চিকিৎসকের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এতে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও সময়ের আগে ডেলিভারির ঝুঁকি থাকে।
তিনি আরও বলেন, আট মাসের ডেলিভারি ব্যাথা নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং আল্লাহর অসীম রহমতে আমরা দ্রুততম সময়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি জীবিত বাচ্চা ও একটি মৃত বাচ্চা ডেলিভারি করিয়েছি। এরপর নবজাতকদের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এনআইসিউতে রাখা হয়েছে। তিন নবজাতক ও মা ভালো আছেন বলে তিনি জানান।