
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে যমুনা নদীর তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পশ্চিম আকাশে সূর্য যখন হেলে পড়েছে, তখন খানুরবাড়ি এলাকায় যমুনার তীরে এ পূজার আয়োজন করা হয়। এ পূজা উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন দর্শনার্থীরা।
চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে নদীর পারে সহস্রাধিক দর্শনার্থী ও ভক্তরা ভিড় জমান। এতে পীঠে বড়শি গেঁথে চড়ক গাছে ঝুলিয়ে একজন ভক্তকে ঘোরানো হয়। গাছের একপাশে বড়শিতে গাঁথা ভক্তকে অপর পাশে দড়ি টেনে ঘোরানো হয়। এ সময় শঙ্খধ্বনি ও ঢাকঢোল বাজানো হয়।
জানা গেছে, চড়ক পূজা উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী শিব ঠাকুরের পূজা ও আরাধনা করা হয়। পূজাকে কেন্দ্র করে নৃত্য, অসি নৃত্য, শিবের গাজন করা হয়। শত শত বছরের পরম্পরায় এই চৈত্রসংক্রান্তি পালন করে উপজেলার খানুরবাড়ি হালদার সম্প্রদায়। বংশ পরম্পরায় যমুনা নদীর তীরে চড়ক গাছ ঘুরিয়ে পূজা করে আসছেন স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আয়োজকদের দাবি, এখানে মানত করলে অনেকের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।
চড়ক পূজায় আসা ভক্তরা জানান, পূজায় মহাদেবের প্রার্থনা করা হয়। পাপ মোচনের পাশাপাশি মনের বাসনা পূরণ হয় এই পূজায়। শরীরে বড়শি গাথা ভক্ত সঞ্জিত দাস বলেন, পারিবারিকভাবে এ পূজায় ১০ বছর যাবৎ নিজের শরীরে বড়শি গেঁথে থাকি। এই কাজ না করলে ভালো লাগে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই পূজায় অংশগ্রহণ করি।
পূজার পুরোহিত নিখিল দাস সন্ন্যাসী বলেন, চড়ক পূজার আগে মহাদেবের প্রতিমা নিয়ে ৯ দিন বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পূজা-অর্চনা করা হয়। এ পূজায় ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ হয়।