
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥ টাাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক যুবদল নেতা ফজল হক নিহতের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে পাশ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা পূর্বপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশতৈল ফাঁড়ি ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার হাতিবান্ধা পূর্বপাড়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী রুমেলা (৩৭), একই এলাকার সিরাজের স্ত্রী গোলবাহার ও গেচুয়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. জাফর (৩২)।
রোববার উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশী নগর এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ঘটনার প্রধান পারভেজসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, ফজল হক দীর্ঘদিন বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে শ্রমিকদলের সিনিয়র নেতা হিসেবে কাজ করছিলেন। বাঁশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে তার নাম রাখা হয়েছিল।
জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ সম্পর্কে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিহত ফজল হকের সঙ্গে তাঁর ফুপাতো ভাই মজিবুর রহমানের ছেলে পারভেজের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল রোববার সকালে পারভেজ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি থেকে ফজল হকের কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করতে যান। ফজল হক বাধা দিতে গেলে পারভেজ ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন ফজল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ফজল হকের আর্তচিৎকারে তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ছেলে মনিরুজ্জামান এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় ফজল হক ও তাঁর স্ত্রী-ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
মির্জাপুর থানা ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।