
নুর আলম, গোপালপুর ॥
দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এরপর মাদ্রাসার প্যাডে ও স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম লিখে স্বাক্ষর দেন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। রবিবার (৪ মে) দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদরাসার ইবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেক বলেন, অধ্যক্ষের নামে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সে কাউকে কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাওয়ার কারনে সে শিক্ষকদের নামে মামলা করেছেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং অন্য স্যারদের নামে মামলা করেছেন। নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসেন না। আমরা মাদরাসার টাকা ফেরৎ ও প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, অধ্যক্ষকে ইউএনও অফিসে আনা হয়েছে। এখনো বসা হয়নি, কিছুক্ষণ পর বসা হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।
এ ব্যাপারে সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ক্লাস হচ্ছে না বলে ছাত্ররা আমাকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে মাদরাসায় যাওয়ার পর আমাকে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র ও আজকের মধ্যে নগদ ২০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে লিখে নিয়ে গেছে।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছি, অধ্যক্ষ এখন আমার সামনেই আছে। আলোচনা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।