
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥
যে বয়সে ফুটবলাররা অবসর গ্রহণ করেন, ঠিক সেই বয়সে স্বাস্থ্য সচেতন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, আইনজীবী, চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমে যাচ্ছেন ফুটবল খেলতে। বিষয়টা ভবিষ্যৎ প্রজ্জমের জন্য নব দিকনির্দেশনা। চল্লিশোর্ধ্ব ভাইদের আয়োজনে নতুন প্রেরণায় শনিবার (৩ মে) যমুনা নদীতে দিনভর নৌকাভ্রমণ ও সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আকর্ষনীয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনব্যাপী ফোরটি ব্রাদার্স ক্লাবের আয়োজন শুরুতে যমুনা নদীতে নৌকাভ্রমন চায়নাবাঁধ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। চায়নাবাঁধে প্রচন্ড গরমে যমুনার শীতল পানিতে চল্লিশোর্ধ্ব সমমনাদের নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্টের সাঁতার ও গোসলের আয়োজন করা হয়।
দিনের শেষ ভাগে বিকেল ৫টায় কালিহাতী উপজেলার সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ৩০ জন ফুটবলার লাল ও সবুজ নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে মাঠে নেমে পড়েন খেলোয়াড়রা। লাল দলের নেতৃত্ব দেন ডাক্তার নজরুল ইসলাম। আর সবুজ দলের নেতৃত্ব দেন ডাক্তার হায়দার আলী।
প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন প্রীতি ফুটবল ম্যাচে শুরু থেকে ডাক্তার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে লাল দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। বিপরীতে ডাক্তার হায়দার আলীর নেতৃত্বে সবুজ দল রক্ষনাত্মক খেলতে থাকে। ৫ মিনিটের সময় খেলার ধারার বিপরীতে সবুজ দলের বিক্ষিপ্ত আক্রমণে এডভোকেট নাসিমের গোলমুখী উচু শট লাল দলের গোলরক্ষক রফিক বলটি নিজ আয়াত্তে নিতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় দাঁড়ানো দুলাল টোকা দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়। এতে করে সবুজ দল (১-০) গোলে এগিয়ে যায়।
লাল দল খেলায় পিছিয়ে পড়ে একচেটিয়া আক্রমন করে খেলে দ্রুত খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সবুজ দলের গোলরক্ষক সুব্রত ধর চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। পুরো খেলায় লাল দলের নিশ্চিত ৪টি গোল করার সুযোগ গোলরক্ষক সুব্রত ধর তার একক দক্ষতায় প্রতিহত করেন। এ সময় লাল দলের স্টাইকার ডাক্তার আব্দুল্লাহ ২টি, নুরে আলম ভূইঞা ও হাসান একটি করে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। অপরদিকে সবুজ দল একমাত্র গোল দেয়া ছাড়া পুরো খেলায় আর কোন গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।
খেলার শেষ দিকে লাল দল বনাম সুব্রত ধরের সাথে খেলা হয়ে যায়। লাল দল আক্রমনগুলো ফিরিয়ে দেন নিজের দক্ষতায় সুব্রত ধরের অসাধারণ পারফরমেন্স। বিশেষ করে ডিবক্সের বাইরে থেকে অনুপম ও ডাক্তার নজরুল জোরালো শট সুব্রত ধর অসাধারণ দক্ষতায় লাল দলকে গোল বঞ্চিত করেন।
রেফারী তৌহিদুর রহমান মাসুদ খেলার শেষ বাঁশি বাজালে লাল দলের খেলোয়াড়রা হতাশায় মাঠে বসে পড়েন। ধারাভাষ্যকার সাংবাদিক মোজাম্মেল হকের দেওয়া তথ্য মতে সেরা খেলোয়াড় সবুজ দলের অসাধারণ খেলা গোলরক্ষক সুব্রত ধর।
দু’দলে যারা খেলেছেন তারা হলেন- সবুজ দল- ডাক্তার হায়দার আলী (অধিনায়ক), সুব্রত ধর, গৌতম, ইলিয়াছ, বিজয়, আল আমিন, লিটন সাহা, গৌরসুন্দর, জহিরুল, মুজিবর, উজ্জল, উজ্জল-২, শামীম, ইমরান, এড. দয়াল, হাবিব, দুলাল, নোমান ও এড. নাসিম।
লাল দল- ডাক্তার নজরুল ইসলাম (অধিনায়ক), রফিক, পরিমল, খায়রুল, রাম, ডাক্তার শরিফুল, দিলীপ, সুজিত, ছানোয়ার, মতিন, নুরে আলম ভূ্ইঁয়া, উৎপল, রাতুল, মোস্তফা, ডাক্তার হাসান, ডাক্তার আব্দুল্লাহ, গোবিন্দ ও ইফতেখারুল অনুপম।