
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে রবিবার (৪ মে) সকালে বিভাগের সেমিনার হলে “মাইক্রোবিয়াল জিনোমিক্স ইন অ্যাকশন: টার্গেটিং ডিজিজ, ট্রান্সফর্মিং ফার্মা” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু জুবাইর। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আছাদুজ্জামান শিকদার।
এছাড়া সেমিনারে সায়েন্টফিক সেশনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন মিজানুর রহমান, ম্যানেজার, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, পিএমডি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এবং আইসিডিডিআরবি এর ইনফরমেশন ডিজিজ ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ড. নুরজাহান বেগম ও উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সায়মা সাবরিনা। সেমিনার পরিচালনা করেন উক্ত বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এই সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জীবাণুর জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করে কীভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার নতুন পথ তৈরি হচ্ছে এবং কীভাবে ওষুধ শিল্প এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে, সে বিষয়ে আজকের এই সেমিনার অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথপ্রদর্শক হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে এই বিষয়টি বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক সময় আমরা যে সকল সংক্রামক ব্যাধির মুখোমুখি হই। তার সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয় না। মাইক্রোবিয়াল জিনোমিকস আমাদের সে পথ খুলে দিয়েছে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাসসহ নানা জীবাণুর ডিএনএ বিশ্লেষণ করে আমরা এখন খুব সহজেই জানতে পারি। কোন জীবাণু কোন রোগের জন্য দায়ী এবং কীভাবে সেটির বিরুদ্ধে কার্যকর চিকিৎসা বা ওষুধ তৈরি করা যায়।
এছাড়া এই গবেষণার মাধ্যমে ওষুধ শিল্পেও এক নতুন বিপ্লব ঘটছে। এখন পার্সোনালাইজড মেডিসিন বা রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ওষুধ তৈরি ও প্রয়োগের পথ তৈরি হচ্ছে। এতে রোগ নিরাময়ের হার যেমন বাড়ছে, তেমনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমছে। এই সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকগণ নতুন নতুন চিন্তাধারা ও গবেষণার বিষয় খুঁজে পাবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার ক্ষেত্রে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে।