স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কোট বহুরিয়া এলাকায় মাটি লুট করতে নদীতে দেওয়়া বাঁধ অভিযান চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২ মে) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান অভিযান চালায়। এ সময় ভেকু মেশিন দিয়ে নদীতে দেয়া বাঁধ ভেঙে দেন তিনি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার (২ মে) বিকেলে অভিযান চালানো হয়। মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান জানান, নদীতে বাঁধ দেয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। অভিযান চালিয়ে বাঁধটি ভেঙে দিয়েছেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বহুরিয়া ও মীর দেওহাটাসহ আশেপাশের এলাকার ভাটা মালিক ব্যাক্তি ও সরকারি জমি থেকে নদীতে বাঁধ দিয়ে পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ট্রাকযোগে মাটি কেটে আনছেন। দিনে ও রাতে নদী পাড়ের মাটি কেটে তারা ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। বাঁধের নীচ দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য সরু পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় নদীর উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ দিকের পানির উচ্চতা বেশি। বাঁধটি দিয়ে বুধিরপাড়া ও মুন্দিরাাপাড়া এলাকায় ছয়টি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি স্থান ও আশেপাশে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে।
ভেকু চালক জাহাঙ্গীর জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে তিনি এখানে কাজ করছেন। দিনে আট ঘন্টা হিসেবে প্রতি ঘন্টায় ৫-৬ ট্রাক মাটি বোঝাই করে দেন। ট্রাক চালক জসিম জানান, তিনি মেসার্স সহিদ ব্রিকসে মাটি নিচ্ছেন। ভাটার মালিকের নিজস্ব ট্রাক দিয়ে তাঁরই কেনা মাটি কেটে নিচ্ছেন। মীর দেওহাটা গ্রামের ট্রাক চালক নাদিম হোসেন বলেন, কোম্পানীরই গাড়ি, কোম্পানীরই সাইড, কোম্পানীরই মাটি নেই।
মুঠোফোনে সহিদ ব্রিকস এর মালিক সহিদুর রহমান বলেন, তিনি ২০ দিন ধরে একটি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটছেন। মীর দেওহাটা গ্রামের জব্বর, মনির, আকবর, জুয়েল, বাবু ও ইস্রাফিল মিলে অন্য এক্সেভেটরগুলো চালান। সবাই আমার কথা বলে বাঁচতে চায়।
এদিকে চান্দুলিয়া এলাকায় দেখা যায়, ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদীর সিন্দুক কুমের পাড় থেকে নদী ও নদীর পার থেকে অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে। দেখে বুঝার উপায় নেই যে সেখানে নদী ছিল।
এক্সেভেটর চালক খোকন মিয়া জানান, তিনি মীর দেওহাটা গ্রামের শাকিল ও সরোয়ার, ফরিদ বহুরিয়া গ্রামের হকে ও জলিল মাটি কেটে ট্রাকে তুলে দিচ্ছেন। পাঁচদিন ধরে তিনি মাটি কাটছেন।
মুঠোফোনে সরোয়ার হোসেন বলেন, সবার সাথে লিঁয়াজো করেই মাটি কাটা হচ্ছে।