
সাদ্দাম ইমন ॥
তীব্র দাবদাহে টাঙ্গাইলে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত প্রায়। গরমে মানুষ হাপিত্যেশ অবস্থায় আছেন। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্র ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তাদের আয়-রোজগার বন্ধের উপক্রম। কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। আর একান্তই যাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে তারা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। টাঙ্গাইলে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই করছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। এছাড়া কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আজ শনিবার (১০ মে) এবং আগামীকাল রোববারও (১১ মে) অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল জেলার ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ আজ ও আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনপদ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। জেলার হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজও করতে পারছেন না তারা। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে চাচ্ছে না মানুষজন। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে লাগাতার তাপপ্রবাহে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। প্রকৃতিতে গরম বাতাসে বইছে। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।
ফলে তীব্র পানি সংকটও দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র ও মাঝারি দাবদাহে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।