আদালত সংবাদদাতা ॥
টাঙ্গাইল পৌর এলাকা মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমিতি লিমিটেডের অবৈধভাবে কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ এই কমিটির ৫ জন সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৩ মে) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এরা হলেন- জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক ইমতিয়াজ রুহুল, প্রশিক্ষক সাইদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা সমবায় অফিসার।
মামলা সুত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত পৌর এলাকা মৎস্য ব্যবসায় বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ বিগত ১৯৯৩ সালের (৪ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠিত হয়। যাহা নিবন্ধন নং-৪, যাহা প্রধান কার্যালয় টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনী বাজার ২য় তলায়। সমিতির পরিচালানার জন্য সমবায় সমিতির আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। পরিচালানা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সমিতির জন্য নতুন কমিটি গঠনের জন্য সমিতি কর্তৃপক্ষ সমিতির নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ে গত বছরের (২৮ আগস্ট) ১১২৮ নং আদেশ মুলে নির্বাচন কমিটি নিয়োগ করেন। ৫ জন আসামী বিভিন্ন পদে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিটি নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিটি গত বছরের (৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন তপশীল ঘোষনা করেন।
ঘোষিত তফশীল মোতাবেক গত বছরের (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র বিতরণ করেন। পরদিন (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা নেন। এর পরদিন (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা হতে মনোনয়ন পত্র বাছাই করেন। তার পরদিন (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার সময় বৈধ এবং বাতিলকৃত প্রার্থীদের প্রাথমিক খসড়া তালিকা সমিতির নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত থাকলেও নির্বাচন কমিটি যথাসময়ে প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ না করে নির্ধারিত সময়ের পর মৌখিকভাবে তালিকা সকলকে অবগত করেন। মামলার বাদী সমিতির বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বর্তমানে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সভাপতি প্রার্থী। বাদী প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ১নং আসামী মোহাম্মদ আলী তার স্বাক্ষর জ¦াল করে অবৈধভাবে ও সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে প্রাথমিক খসড়া তালিকায় তার নাম মোহাম্মদ আলী প্রকাশ করেন। তা সম্পুর্ণভাবে অবৈধ এবং বানোয়াট।
মোহাম্মদ আলীর সদস্য রেজিষ্টার পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার সদস্য নং-৫৩০, সদস্য হওয়ার তারিখ- ২০/১২/২০১৫ইং। কিন্তু তার রেজিষ্টারে জন্ম তারিখ ও বয়স লেখা নেই। এছাড়াও নির্বাচন কমিটির ঘোষিত তফশীল মোতাবেক যথাসময়ে তফশীলে বর্নিত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নাই। ১নং আসামী আদালতের কারণ দর্শানোর জন্য একটি আপত্তি দাখিল করেন। আপত্তির শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারিত হয়। ১নং আসামী যোগসাজসে ৫নং আসামী জেলা সমবায় অফিসার গত (২৪ এপ্রিল) ৪৭, ৬১, ৯৩০০, ০০০, ৩৬, ৬৬, ২০০০, ২৯৮ নং স্বারক মূলে জরুরী ভিত্তিতে টাঙ্গাইল উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে ৫নং আসামী নির্দেশ করেন যে, অন্তবর্তী কমিটি গঠন করার জন্য। উপজেলা কর্মকর্তা নির্দেশ পেয়ে ১নং আসামীর যোগসাজসে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা মৎস্য ব্যবসায়ী বহু মূখী সমিতির একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি তড়িঘড়ি করে ৪৭, ৬১, ৯৩২৫, ০০০, ০৬০, ০০৬১১৩, ১০৯ নং স্বারক মূলে একটি চিঠি বাদীকে প্রদান করেন। তৎপর ২-৫ নং আসামী তড়িঘড়ি করে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা মৎস্য ব্যবসায়ী বহু মূখী সমিতি গঠনের জন্য চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় ২-৫ নং আসামী উক্তরুপ কার্যকরিলে বাদীপক্ষের অপূরনীয় ক্ষতির কারন ঘটে। অত্র মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২-৫ নং আসামী যাতে উক্তরুপ অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করার কোন প্রকার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না পারে তৎমর্মে দেঃ কাঃ বিঃ আইনের ৩৯ এর আদেশ ১/২ নিয়মের বিধান মতে ২-৫ নং আসামীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক। বাদী তৎমর্মে দেঃ কাঃ বিঃ আইনের ৩৯ এর আদেশ ১/২ নিয়মের বিধান মতে ২-৫ নং আসামীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ ন্যায় ও সুবিচার করিতে মর্জি হয়। ২-৫ নং আসামীদের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করা হবে না। তাহলে অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্য দিবসের মধ্যে ২-৫ নং আসামীদের কারন দর্শনার নির্দেশ দেওয়া গেল।