
স্টাফ রিপোর্টার, নাগরপুর ॥
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১ জনকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কম পক্ষে আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শরিকের সম্পত্তি আত্মসাৎ এ ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতা বাদশা মিয়ার নেতৃত্বে হামলায় হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
বাদশা মিয়া উপজেলা বিএনপির তাঁতী, মৎস্যজীবি, উপ-জাতি বিষয়ক সম্পাদক ও মামুদনগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। নিহত আব্দুল জব্বার সুদামপাড়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিএনপি নেতা বাদশা মিয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছে চাচাতো ভাই জব্বারের। সম্পত্তির বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত (৫ আগস্ট) সরকার পরিবর্তনের পর বাদশা মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শরিকের সম্পত্তি গ্রাস করার পায়তারা করেন। দলীয় পদ-পদবি থাকায় সে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন। কোর্টে মামলা থাকার কারনে রোববার (১৮ মে) হাজিরা দিতে যায় বাদশা ও তার সহযোগীরা।
হাজিরা শেষে ওই রাতে বাদশা জব্বারের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পর দিন সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে বাদশা মিয়া তার বাহামভুক্ত দলবলসহ জব্বারের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। হামলাকারিরা পিটিয়ে জব্বার মিয়াসহ রবিউল (২১), আজিজ (৩৫), আলী (৫৫) লাল হোসেনকে (৫০) গুরুতর আহত করে। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা আহতদের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল জব্বারকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ফারহানা আফরোজ জানান, জব্বার মিয়াকে হাসপালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।