স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রতিবেশী চাচা ফরহাদের ধর্ষনে ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন ১৩ বছরের ভাতিজি। এমন অভিযোগ উঠেছে ফরহাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের পচাসারটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন খান (৫৫) প্রতিবেশীর ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে একাধিক দিন কয়েকবার জোড় করে ধর্ষণ করে। যার ফলে মেয়েটি বর্তমানে ২৩ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, গত বছরের (১৪ নভেম্বর) ফাঁকা বাড়িতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে মুখ, হাত বেঁধে জোড় করে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফরহাদ চাচা বলে, তুই যদি কাউকে এ কথা বলিস তাহলে আমি তোদের ঘরে শিং কেটে ঢুকে সবাইকে খুন করবো।
ভুক্তভোগীর বোন, বাবা-মা জানায়, আমরা অতি দরিদ্র। পেটের দায়ে মানুষের কাজ করে ডাল-ভাত খাই। ওর শারীরিক পরিবর্তন দেখে ডাক্তার দেখাই। এতে কওে জানতে পারি সে ৬ মাসের গর্ভবতী। পরে এই মেয়েকে চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জানতে পারি- প্রতিবেশী ফরহাদ চাচা আমার সাথে খারপ কাজ করেছিল।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমরা নাবালক মেয়েকে ধর্ষনের সুষ্ঠ বিচার চাই। ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে ৩শ গজ দূরে প্রতিবেশী মৃত সিরাজ খানের ছেলে ফরহাদ খানকে (৫৫) তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক আসার খবরে পরিবার নিয়ে সে পালিয়ে যায়।
ধর্ষনের বিষয় এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও শিক্ষক মিলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ করে এলাকাবাসী। দরিদ্রতার কষাঘাত ও প্রভাবশালীদের হুমকিতে ভুক্তভোগীর পরিবার এতোদিন মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় পরিবারটি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবারটি।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত পূর্বক থানায় মামলা দায়ের করে আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রেখেছি। আসামি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ভুক্তভোগীর থানায় আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখবো। যদি কোন মহল বা কেউ তাদের আইনগত অধিকার হরনের চেষ্টা করেছিল কিনা, এটাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত ধর্ষনের অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি নাগরপুর থানা পুলিশ।