স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণকালে কার্ড গ্রহণকারী নারী নাগরিকদের স্বর্ণালংকার চুরির হিড়িক পড়েছে। চুরির দায়ে চক্রের মরিয়ম (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসা মাঠে। আটককৃত মরিয়ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিশু মিয়ার স্ত্রী।
বুধবার (২১ মে) রাতে মধুপুর থানায় মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা মাদ্রাসার মাঠে দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বর্ণালংকার খোয়ানো ওই গ্রামের শিরিন নামের এক নারী আটককৃত নারীসহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ নারীর নামে বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এলাকার তাহমিনা, রাশিদা বেগম, রমিছা বেগম, আশা, মনিরা ও কমলা রাণীসহ ৭/৮ নারীর স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য পাঁচ লাখ টাকার উপরে।
মহিষমারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে এই ইউনিয়নের নাগরিকদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়েছে। দুই দিনে মহিষমারা ইউনিয়নে স্মাটকার্ড বিতরণকালে ৭ নারীর চার ভরির অধিক স্বর্ণলংকার খোয়া যায়। এছাড়া ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাহমিনা আক্তারের চেইন খোয়া যায়। এ নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। চেইন খোয়া যাওয়ার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালানো শুরু হয়।
ভীড়ের মধ্যে সন্দেহজনক ও অপরিচিত মহিলার গতিবিধি পর্যালোচনায় অবশেষে ধরা পড়ে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে আটক করা হলেই বের হয়ে আসে আসল কাহিনী। এলাকার নারীরা উত্তম মধ্যম দেওয়া শুরু করলে মরিয়ম প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে তাকে মধুপুর থানা হেফাজতে দেওয়া হয়।
সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার তারিকুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র ফেরত চাইলে ওই নারী অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে ধরা পড়েছে। দেশের অনেক জায়গায় কার্ড বিতরণকালে এমন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। এতে বিশেষ চক্র জড়িত।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, মামলায় আটক হওয়া মরিয়মসহ এই চক্র মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা মিলছে। মরিয়মের সঙ্গে থাকা চাচাতো বোন রুনা, সালমারা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।