
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যেতে অধীর আগ্রহে দিন গুনছে। তারা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রাথীকে নির্বাচিত করতে চায়। কারণ তাদের সুখ দুঃখ শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই বুঝতে পারে।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উত্তর চিতেশ্বরী সেবার মাঠের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ। আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুনার্মেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামছুল আলম সিকদারের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাহ উদ্দিন আরিফ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, ডি এম শওকত আকবর, জুলহাস মিয়া, শফিকুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ মিয়া, আজাহারুল ইসলাম, উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য মতিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন খান, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশীদ, তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ রেজা, আজগানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনীথ বুখারী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আজগানা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও খেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দিন।
সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে বলেন, এদেশের ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অবদান অস্বীকার্য। কোকো রাজনীতি করতেন না। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার তাকে অপবাদ দিয়ে ও নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও হাসিনা যাতে কোন ষড়যন্ত্র করে এদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারে সে বিষয়ে সকলে সজাগ থাকার আহবান জানান।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। ফাইনাল খেলায় কয়েক হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করেন।