
স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘৪র্থ মাভাবিপ্রবি জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২৫’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শনিবার (২৪ মে) দুপুওে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। গত (২৩ ও ২৪ মে) দুই দিনব্যাপী এই বিতর্ক উৎসবে দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি দল অংশ নেয়। চুড়ান্ত বিতর্কে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্সআপ হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। টুর্নামেন্টের সেরা বিতার্কিক হয়েছেন মিরাজ বিশ্বাস এবং সেরা বিতার্কিক ফাইনাল হয়েছেন কামরুল আহসান।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ ও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। এতে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির কো-মর্ডারেটর ড. জিয়াউর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ও মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আবু জুবাইর, মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান আনিছ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টও অধ্যাপক ড. ইমাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসবের চিফ কোর এডজুডিকেটর রাসেল সরকার ও কোর এডজুডিকেটর ও মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম হিমু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি রোকসানা রুকু।
প্রধান অতিথি বলেন, ৪র্থ জাতীয় বিতর্ক উৎসব এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য এক গৌরবের বিষয়। বিতর্ক শুধু কথার লড়াই নয়- এটি যুক্তির, নৈতিকতার এবং মূল্যবোধের চর্চা। বিতর্ক সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলে, অন্যায়ের প্রতিবাদ শেখায় এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে সহায়তা করে।
দুই দিনব্যাপী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা তরুণ বিতার্কিকদের মাঝে যে প্রাণবন্ত যুক্তি, বিশ্লেষণ এবং মেধার প্রকাশ ঘটেছে। তা আমাদের নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। এই প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নেবে। সমাজের ভুল ভাঙাবে এবং জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। এ বিশ্বাস আজ আরও দৃঢ় হলো।
আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই এই সফল আয়োজনের জন্য। সেই সাথে অংশগ্রহণকারী সকল বিতার্কিককে অভিনন্দন জানাই তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পুঁথিগত বিদ্যার জন্য নয়। বরং মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদিতা ও মানবিক গুণাবলি বিকাশের ক্ষেত্র। বিতর্কের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে বোধ ও বিচার বুদ্ধি অর্জন করছে- তা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার শক্তি হয়ে উঠবে। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে বেশি অংশগ্রহণকারী নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।