
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর ॥
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব সারাদেশের মতো টাঙ্গাইল জেলাতে অঝোড়ে বৃষ্টির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম বৃহত্তম টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দাসী কোরবানির গরুর হাটে তুলনামূলক ক্রেতা সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির আর মাত্র ক’দিন বাকি। তাই চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৯ ও ৩০ মে) সকাল পর্যন্ত সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে টানা দুই দিন ধরে অঝোড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি অপেক্ষা করে বিক্রেতারা গরু-ছাগল হাটে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রেখেছেন। কিন্তু ক্রেতাদের সাড়া মিলছে না। এতে কোরবানি পশু বিক্রি না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর থেকে গোবিন্দাসী গরুর হাটে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল থেকে ৭টি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতার দেখা পাচ্ছি না। আমাদের মতো অন্য ব্যবসায়ীরা দাম-দর করছেন। মাত্র ১টি গরু বিক্রি করতে পারছি। বৃষ্টি না থাকলে ক্রেতাদের উপস্থিত থাকতো। তাছাড়া কিছু কিছু ক্রেতারা মাঝারি ধরণের গরু কিনছেন।
গরুর হাটে আসা ক্রেতা আব্দুল মান্নান মিয়া, হাসান আলী ও শফিউর রহমান বলেন, হাটের অনেক গরু উঠেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাম ছাড়ছে না। তারমধ্যে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে পুরো হাট ঘুরে দেখতে পাচ্ছি না। কোরবানির জন্য অনেকগুলো গরু দেখেছি। যেহেতু সামনে আরও দুইটি হাটবার রয়েছে। তাই এতো তাড়াতাড়ি কেনার আগ্রহ নেই।
ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দাসী গরুর হাটের পরিচালক মাকসুদ জামিল মিন্টু বলেন, হাটে বিক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক থাকলেও বৈরী আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের উপস্থিত কম ছিল। তবুও কেনা-বেচা মোটামুটি ভালো হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি না থাকলে দেশের অন্যতম এই বৃহতম গরুর হাটে উপচেপড়া ভিড় জমজমাট হয়ে যেতো।