
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কবিতা বেগম (৩০) নামে এক নারীকে শ্রমিককে জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্বামী সুজন মিয়া (৩২) পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা গোড়াই সিকদার পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সুজন নীলফামারী জেলা সদরের মাজুডাঙা সিংমারী গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় কবিতার বাবা কদম আলী সুজনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, নীলফামারী জেলার একই এলাকার বাসিন্দা কবিতা বেগম ও তার স্বামী সুজন চাকুরির সুবাদে দুই সন্তান নিয়ে গোড়াই সিকদার পাড়ার ওই বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। কাইয়ূম (১০) ও সুমাইয়া (৮) নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কবিতা গোড়াই শিল্প এলাকার হামিম গ্রুপের একটি কারখানায় চাকুরি করতেন। কবিতার বাবা কদম আলী জানায় তার মেয়ের বেতনের টাকা জোর করে নেয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী সুজনের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে বেতনের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সুজন কবিতাকে রুমের ভেতরে আটকে দরজা বন্ধ করে মারপিট করতে থাকে। পরে রুমে থাকা একটি চাকু দিয়ে সুজন কবিতার বুকে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং পরে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় রুমের বেতরে তাদের মেয়ে সুমাইয়া ছিল বলে জানান কদম আলী। পরে তার নাতি ও নাতনীর চিৎকার করলে সুজন পালিয়ে যায়। তারা এসে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ কবিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত কবিতার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করছেন। সুজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।