
স্টাফ রিপোর্টার ॥
আর মাত্র ক’দিন পরই কোরবানির ঈদ। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের ৬৫ কিলোমিটার অংশে ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ জানায়, মহাসড়কে সোমবার (২ জুন) জেলা পুলিশ, থানা ও হাইওয়ে পুলিশের ৬ শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ মহাসড়কে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে ৪৩টি প্রিকেট টিম, ২৫টি হোন্ডা মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার (৪ জুন) থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে বিকেলের পর থেকে মহাসড়কে চাপ বাড়ছে কয়েকগুণ। ফলে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।
পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই শুরু হয় কাজ। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চারলেনের কাজ করছে। গত ঈদে চার লেনের কিছুটা সুবিধা পেলেও সার্ভিস লেনের কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে এবারও মহাসড়কের চার লেনের সুবিধা পেলেও পুরোপুরি সুবিধা পাবে না এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। এখনো মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের লেনে গাড়ির চাপ বাড়লে বিকল্প চিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, যদি সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে। তাহলে আমরা ভুঞাপুরের গোলচক্কর থেকে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে ঢাকার গাড়ি পাঠাবো। ঘরমুখো মানুষকে যে কোনোভাবে নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা আমরা করবো। বুধবার (৪ জুন) বিকালে টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মহাসড়কে ৬শ বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে মোবাইল টিম কাজ করছে। আজকে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট নেই কোথাও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ রবিউল ইসলাম রবি, গোপালপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফৌজিয়া আক্তার, কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেনসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।
এদিকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এরমধ্যে দুই পাশেই ২টি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেলের জন্য পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।