
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ মিনিটে গরু শূণ্য হয়ে পড়ল হাট। অননুমোদিত গরুর হাট বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান ১০ মিনিটের সময় বেঁধে দিলে হাটটি গরু শূণ্য হয়ে পড়ে। ওই সময়ের মধ্যেই প্রায় তিন শতাধিক গরু ব্যাপারীরা তাদের গরু নিয়ে হাট থেকে বিদায় হন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার গরুর হাট বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
জানা গেছে, ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে চকবাজারে অস্থায়ী গরুর হাট বাসান স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান গরুর হাটে যান। অননুমোদিত গরুর হাট বন্ধে তিনি আয়োজকদের ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন। ওই সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা হাটের গরু নিয়ে চলে যান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মির্জাপুর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা ও মির্জাপুর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, প্রতি বছরই ঈদুল আযহা উপলক্ষে তরফপুর গ্রামবাসী মিলে চকবাজারে অস্থায়ী গরুর হাট বসান। এ বছরও সেভাবেই গরুর হাটের আয়োজন করেছিল গ্রামবাসী। এই হাটে শুধু তরফপুর গ্রামের মানুষই গরু কেনা বেচা করে থাকে। কিন্তু এসিল্যান্ড স্যার এসে গরুর হাট বন্ধে ১০ সময় বেঁধে দিলে গ্রামবাসী যার যার গরু নিয়ে হাট থেকে চলে যান। ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি নিয়ে হাট বসানো প্রদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তরফপুর গ্রামের বাসিন্দা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী নাজমুল হোসেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মজিবর মোল্লাসহ অনেকে বলেন, বাড়ির কাছে গরুর হাট বসাতে গরু কেনার ভোগান্তি থেকে তারা রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেট এসে হাট বন্ধ করে দেয়ায় তাদের কোরবানীর গরু কেনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় বড় দুটি গরুর হাট রয়েছে। এছাড়া ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৮টি অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন রকম অনুমতি না নিয়ে কে বা কারা এখানে গরু হাট বসিয়ে খাজনা আদায় করছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সে কারণে অননুমোদিত হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।