
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর ॥
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার চাঁদাবাজ অসংখ্য রাঘব-বোয়ালরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও দেশে নব্য চাঁদাবাজদের আধিপত্য বেড়ে গেছে। এসব চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন পার করছে। এই নব্য চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও দলটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা ঘোষণাপত্র দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে তিনি একথা জানান।
শাকিল উজ্জামান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও কারাগারে থাকা অবস্থায় রিমান্ড শেষে বলেছিল- আওয়ামী লীগের ৯০% পড়ে গেছে আর ১০% ধাক্কা দেন। আপনারাই সেই ১০% ধাক্কা দিয়েছিলেন। বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে এক আপোষহীন চরিত্রের নাম নুরুল হক। এই নুর কোন সময়ে আপোষ করে নাই, ভবিষ্যতেও আপোষ করবে না।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে শাকিল উজ্জামান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ছাত্র, শ্রমিক জনতাকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন শুরু করছি। যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখার জন্য গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। সে লক্ষে গণঅধিকার পরিষদ পাড়া-মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রুবেল খান, শামছুল হক সুজন, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক এসএম সিহাব, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সজিব, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নসিম উদ্দিন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নবাব আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি সজিব, সহ-সভাপতি রেজাউল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি প্রমুখ।