
মধুপুর প্রতিনিধি ।। দেশজুড়ে চলমান তীব্র গরম ও দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। দুপুরের রোদে ঘর থেকে বের হওয়াই যেন এক যুদ্ধ। এই রকম ভয়াবহ গরমের দিনে একটু ঠান্ডা পানীয় যেন হয়ে উঠেছে স্বর্গীয় স্বস্তি। আর সেই স্বস্থির পরশ ছড়িয়ে দিতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে “স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র সমাজ”।
শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা ৩টা থেকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড (আনারস চত্ত্বর) পথচারী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করে ছাত্রসমাজ। শহরের ব্যস্ততম পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তরুণ শিক্ষার্থীরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এক গøাস ঠান্ডা শরবত-তাতেই হাসি ফুটেছে ক্লান্ত পথচারীদের মুখে।ঈদ যাত্রায় কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে এই কর্মসূচিতে প্রায় দুই হাজার মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঠান্ডা শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এতে উপকৃত হয়েছেন।
এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগওহণ করেন মেহেদী হাসান শিশির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোকাদ্দেছ হোসেন, খোকন, তালহা, আমিনুর, শামীম, সিফাত, সাইদুর, রায়হান, মুন্নি, রেদোয়ান, শাকিল, নাইম, সিয়াম, শাকিল, সোহাগ, রিফাত, জিহাদ সহ প্রায় অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সদস্য। তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শত শত মানুষ এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মধুপুরের সমাজসেবার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এক পথচারী অটোচালক আব্দুল খালেক বলেন, “রাস্তায় রোদে দাঁড়ায়া থাকা যায় না। এমন সময় এই শরবত পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ ছেলেগুলারে ভালো করুক।”
শুধু শরবত নয়, শিক্ষার্থীরা সবাইকে পরিচ্ছন্নতা ও পানির গুরুত্ব সম্পর্কেও সচেতন করেন।
এই মানবিক উদ্যোগ মধুপুরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা যদি এভাবেই মানবিক কাজে যুক্ত থাকে, তবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে খুব দ্রæত।
স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভবিষ্যতেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। রোজা, ঈদ, শীতকাল কিংবা দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকাই তাদের মূল লক্ষ্য।