
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২৩ জুন) সকালে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
টাঙ্গাইল কারাগারের জেল সুপার জানান, গোপালপুর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে বিগত ২০০৯ সালে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন সহিদুর রহমান খান মুক্তি। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে জামিনের আদেশনামা আসে। পরে সোমবার (২৩ জুন) সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ৬ বছর পলাতক থাকার পর বিগত ২০২০ সালের (২ ডিসেম্বর) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সহিদুর রহমান খান মুক্তি। মাঝে দুই দফায় কয়েক সপ্তাহ জামিনে ছিলেন তিনি। গত বছর (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত (২৮ আগস্ট) তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওই বছরের গত (১ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার পথে সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে আবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তাঁকে বিগত ২০২১ সালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিগত ২০০৯ সালে গোপালপুর উপজেলায় বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে এক বিএনপি নেতা সহিদুর রহমান খান মুক্তিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে গত নভেম্বরে গোপালপুর থানায় মামলা করা হয়। পরে সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে ওই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে থাকাকালে গত (২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়। ওই মামলা থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও তাঁর অন্য তিন ভাই বেকসুর খালাস পান।