
সাদ্দাম ইমন ॥
জেলা শহরের প্রধান টাঙ্গাইল পার্ক বাজার জনদূর্ভোগের আরেক নাম। কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়াই বিগত ১৯৮৯ সালে গড়ে তোলা এই বাজারে নেই কোন সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পুরো বাজারের জন্য একটি মাত্র ড্রেন রয়েছে তাও আবার বাজারের বাহির দিকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই যা কোন কাজেই আসছে না। ফলে বৃষ্টি হলে দূর্ভোগের শেষ নেই এই বাজারে বাজার করতে আসা মানুষজনের।
বিশেষ করে মহিলাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয় সবচেয়ে বেশী। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পার্ক বাজারে জেলার প্রায় সব এলাকার লোকজন আসে বাজার করতে। এই বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি শৌচাগার। যা ব্যবহারের একেবারেই অযোগ্য। এছাড়া এই বাজারে কোন পাকিং ব্যবস্থা নেই। ফলে রাস্তার মধ্যেই গাড়ী পাকিং করে যানজট তৈরি করছে।
পার্ক বাজারের ছয়টি প্রবেশ পথের মধ্যে ভাসানী হলের দিক থেকে প্রবেশ পথটি ঢালাই করে বাধাঁনো। বাকী প্রবেশ পথগুলো ঢালাই করে করা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাজারে প্রবেশের সড়কগুলোতে যুদ্ধ করে ঢুকতে হয়। এর কারণ সড়কের দুই পাশে বাজার বসানো হয়। এতে বাজার করতে আসা মানুষজন চলাচল করতে পারে না। এছাড়া টাঙ্গাইল শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারী এই সব্জি বাজারে মালামাল লোড-আনলোড করা হয় রাস্তার মধ্যে ট্রাক থামিয়ে।
যার ফলে প্যাড়াডাইস পাড়া খাল পার রোডসহ বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই এলাকার অনেক স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী শুধুমাত্র রাস্তা আটকা থাকার কারনে স্কুলে যেতে চায় না।
বাজার করতে আসা মানুষজন ক্ষোভ নিয়ে বলেন, প্রতিদিন জেলা শহরের প্রধান এই বাজার থেকে হাজার হাজার টাকা খাজনা তোলা হয় বাজারের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। এই ব্যাপারে নেই কোন জবাবদিহিতা। টাঙ্গাইল শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারী সব্জির বাজার পার্ক বাজারের উন্নয়নের টাকা যেন পার্ক বাজারের কাজেই লাগে। এই বাজারে বাজার করতে আসা লোকজনকে যেন আর দূর্ভোগে পড়তে না হয়। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।