
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব বলেছেন, বিগত ১৫টি বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সৎ নেতা ছিলেন। আমরা তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল করে গর্ববোধ করি। বিএনপির দুর্নাম হয় এমন কোন কাজ আমরা করবো না। তারেক রহমানের নির্দেশনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মির্জাপুরে বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ, মিথ্যাবাদীর জায়গা হবে না।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মির্জাপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সাঈদ সোহরাবের নেতৃত্বে মির্জাপুর শহরে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান, ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন আলী হোসেন রনি, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এস এম রাসেল, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খন্দকার মোবারক হোসেন, সোহরাব হোসেন, উপজেলা জাসাসের আহবায়ক হাশেম রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম, গোড়াই আঞ্চলিক শাখা শ্রমিক দলের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, সমস্ত লুটেরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে আজকে দেশের যে নতুন অবস্থা তৈরী করেছি। এই অবস্থায় আমরা ভাল মানুষকে পার্লামেন্টে পাঠাতে চাই। সাঈদ সোহরাব একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। মির্জাপুর বিএনপি তার সাথে হিমালয়ের মতো থাকবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।