স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিশ্বের সিনথেটিক বায়োলজি অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগে মাভাবিপ্রবি বায়োটেক ক্লাব ও International Genetically Engineered Machine (IGEM) এর যৌথ উদ্যোগে IGEM ভাবনা থেকে বাস্তবায়নে : বাংলাদেশের IGEM ভবিষ্যৎ নির্মাণের যাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বায়োটেক ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে.এম. মহিউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম।
রিসোর্সপার্সন হিসেবে ছিলেন ইউরোপ, এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের IGEM অ্যাম্বাসেডর ও যুক্তরাজ্য দ্য ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের শিক্ষার্থী উসরাতনুবাহ এবং এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের IGEM অ্যাম্বাসেডর ও প্রোমোটর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার হাসান। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞান ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। IGEM বা International Genetically Engineered Machine প্রতিযোগিতা আজ বিশ্বের তরুণ গবেষকদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশের মেধাবী তরুণেরা এই প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করে যে উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সৃজনশীল প্রকল্প উপস্থাপন করছে, তা আমাদের দেশের জন্য গৌরবের বিষয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সম্মান বয়ে এনেছে। ভবিষ্যতে IGEM-এর এই যাত্রা আরও বেগবান হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে সুনাম অর্জন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উদ্যোগ, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের পাশে ছিল এবং থাকবে। IGEM-এর এই যাত্রা শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়-এটি এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংকল্প।
উল্লেখ্য, IGEM হলো বিশ্বব্যাপী সিনথেটিক বায়োলজি (Synthetic Biology) বিষয়ক সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং গবেষক রাজিন প্রকৌশল ও জীববিজ্ঞান প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব কল্যাণে কার্যকর কোনো উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বিগত ২০০৩ সালে আমেরিকার MIT (Massachusetts Institute of Technology)-তে প্রথম এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শতশত বিশ্ববিদ্যালয় এতে অংশ নিচ্ছে।